ফল খাওয়া নিয়ে কয়েকটি প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা
পুষ্টিবিদ অধ্যাপক ডক্টর. খালেদা ইসলাম বলেছেন, শরীরের জন্য উপকারী হলেও ইচ্ছামতো খাওয়ার সুযোগ নেই। বয়স, অসুস্থতা ইত্যাদি বিষয়ে বিবেচনা নিয়ে পরিমিতভাবে ফল খেতে হবে। যেমন :- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মিষ্টি ফল হিসাব করে খেতে হবে, ঠিক তেমনি একই ভাবে কিডনি রোগীদের ফলমূল বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না।
ফল খেয়ে কি পানি খাওয়া ঠিক নয়?
চলুন আজ আমরা সেই সম্পর্কে জানব৷ ডক্টর. ইসলাম বলেছেন, শুধু ফল নয়, সব ধরনের খাবার খাওয়ার পরে সঙ্গে সঙ্গে পানি খেতে না বলা হয়। এর প্রধান কারণ হলো , পেটের ভিতরের এনজাইম যেন সেটাকে ভেঙে হজমে সহায়তা করে। ফলে এমনিতেই ৭০% পানি থাকে। তখন সাথে সাথে পানি খেলে সেটা হজমে কিছুটা সমস্যা তৈরি করে। তখন এনজাইম টা কাজ করতে পারে না। সেই কারণেই ফলমূল খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি খেতে না বলা হয়।
রাতের বেলায় ফল না খাওয়া কি ভালো?
পুষ্টিবিদ অধ্যাপক ডক্টর. খালেদা ইসলাম বলেছেন, আগে যেভাবে বলা হতো, রাতে ফল খাওয়া যাবে না, এখন আর সেভাবে বলা হয় না। তবে কিছু ফল খেয়ে হজম হতে সময় লাগে। ফলে সেসব ফল খেয়ে শুয়ে পড়লে অনেকের অস্বস্তি ভাব হতে পারে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু রাতে যে একবারে ফল খাওয়া যাবে না, তা ঠিক নয়। বিশেষ করে যারা অনেক রাত জেগে কাজ করেন, তারা অব্যশই খেতে পারেন।
আনারস খেয়ে দুধ খাওয়া কি যাবে না?
এই সম্পর্কে অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম বলেছেন, এটার বৈজ্ঞানিক একটা ব্যাখা রয়েছে। আনারস বা টক জাতীয় কিছু জিনিস খেয়ে দুধ খেলে সেটা পেটে গিয়ে দুধটাকে ভেঙে কঠিন এক ধরনের ছানা তৈরি করে। সেটা হজম হতে অনেক সময় লাগে। এই কারণেই আনারসের সঙ্গে দুধ খেতে না বলা হয়।
ফলের মিষ্টি শরীরের জন্য খারাপ নয় কি?
এটি একটি ভুল ধারণা বলে বলেছেন অধ্যাপক খালেদা ইসলাম। তিনি বলেছেন, ফলের মিষ্টি চিনির মতো ক্ষতিকর নয়, কিন্তু এটিও শরীরের মিষ্টির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই হিসাব করে খেতে হবে। এছাড়াও সাধারণ মানুষেরও বা মানুষদেরও অতিরিক্ত ফল খাওয়া ঠিক নয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url