নেত্রকণায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, নিম্না অঞ্চল প্লাবিত
"উদ্ধাখালী নদীর পানি বাড়ছে। এইভাবে বাড়লে এলাকার নিচু অঞ্চলে পানি ঢুইকা পড়বে।"
বৃষ্টি আর ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে নেত্রকোনার নদ- নদীর পানি বেরিয়ে চলেছে।
রোববার সকাল নয়টা পর্যন্ত সব কয়টি নদীর পানি বিপদ সীমা সুই চঁই করেছে বলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সারোয়ার জাহান জানান।
পাইব জানিয়েছে, জেলার চারটি নদ-নদীর মধ্যে উদ্ধা খালী নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে 'সবচেয়ে বেশি'।
সারোয়ার জাহান বলেন, সোমেশ্বরী, কংস, ধনু ও উদ্ধাখালি নদীর পানি রয়েছে।
এর মধ্যে উদ্ধাখালি নদীর পানি কালমাকান্দা পয়েন্টে বিপদসীমা মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে বইছে।
এতে করে নদীর দুই তীর ছাপিয়ে পানি লকালয়ে ঢোকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনি।
পাউবোর প্রকৌশলি বলেন, কংশ নদের পানি যারিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ১.৪৮ মিটার এবং ধনু নদীর পানি খালিয়াজুর পয়েন্টের বিপদ সীমার এক দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার নিজ দিয়ে বইছে।
এ ছাড়া সোমেশ্বরী নদীর পানে দুর্গাপুর পয়েন্টের ২.৯০ মিটার, বিজয়পুর পয়েন্টে বিপদ সীমার ৬.২৯ মিটার নিজ দিয়ে বইছে বলে জানান।
কলমাকান্দা সদরের বাসিন্দা আজিম উদ্দিন বলেন, "কয়েকদিন ধইরাই ভারী বৃষ্টি বইতাছে।
উজানের ঢলের পানিও আইতাছে। সবমিলিয়া উদ্ধাখালি নদীর পানি সময় যতই যাইতাছে ততই বাড়তাছে।
"অহন একেবারে কিনারে আইয়া পড়ছে। এইভাবে বাড়লে এলাকার নিচু অঞ্চলে পানি ঢুইকা পরব।
একই কথা জানালেন সদর উপজেলার মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন,"পানি বাড়ার গতিতো ভালা ঠ্যাকতাছে না। আরেকটু হইলেই নিচু এলাকায় পানি ঢুইকা পরব।"
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url